অনেককাল আগে আমি একটা ঘুড়ি হয়ে
উড়ছিলাম
মৃদু হাওয়ায় নাটাইটানে ভালই চলছিল সব।
কিন্তু সময়ের সাথে আমার অতৃপ্ত
আকাঙ্খাগুলি জাগ দিতে থাকে।
তখন উপলব্ধি হয়,
নাটাইসুতার পরিধি আমার জন্য পর্যাপ্ত নয়।
জিউসের ইশারায় একটা আচমকা ঝড়ে
সুতা ছিঁড়ে ঘুড়ি মুক্ত হয়ে গেল
আমি ছুটে চললাম দিগন্ত থেকে দিগন্তে।
অবশেষে যখন নিচে আছড়ে পড়ার কথা
তখন ঘুঘু পাখির বাহনে
গোলাপ নিয়ে হাত বাড়িয়ে দিল একজন।
তার শরীর যৌবনময় রূপ
চোখের গভীরতায় কামনা
আর হৃদয়ে প্রেমের মোহনা।
২. (কথোপকথন)
- কে তোমি?
= আফ্রোদিতি
সেই আফ্রোদিতি...
যার জন্মের সাথে জলের গভীর সম্পর্ক।
আমি বিড়বিড় করে বললাম,
- আফ্রোদিতি, আফ্রোদিতি, আফ্রোদিতি।
- প্রিয়তমা তুমি কি আমার?
একটা কঠিন হাসি দিল সে।
হাসির মাঝেও এত কাঠিন্য থাকতে পারে
জানা ছিল না।
= হ্যাঁ, না আবার হ্যাঁ
- এটা আবার কি রকম?
= এই মুহূর্তে আমি তোমার
কিন্তু এই
প্রিয়মিলন কেবলই ক্ষণিকের
তোমার হৃদয়ে আমার প্রেম অন্তহীন।
- চুপ কর আফ্রোদিতি,
তুমি জীবিতই
আমাকে সমাধী দিলে।
আজ থেকে আরিস
থাকবে রণক্ষেত্রে
তোমারমত
হাজারও প্রেয়সীকে নিঃসঙ্গ করে দিবে।
আর
পাষণ্ডহৃদয়ে প্রগাঢ় বিরহী প্রেম নিয়ে
একটি নামই জপ
করবে অনন্ত দিবাতিথি
আফ্রোদিতি, আফ্রোদিতি, আফ্রোদিতি।
প্লট ও প্রেক্ষাপটঃ

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন