মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭
কি লাভ আর কবিতা লিখে
ততটাই কি ভেসেছি?
যতটা ভালবেসেছি
ততটাই কি তোমি উপলদ্ধি করতে পেরেছ?
যতটা অনুভূতি তোমার মাঝে ছিল
ততটুকুই কি আমি বুঝতে পেরেছি?
বুঝা আর না বুঝার জগতে বসবাস করে
না বুঝার পাল্লাটাই যে ভারী।
আমরা কেউ কি কখনো সে ভার হালকা করতে চেয়েছি?
তাহলে কি লাভ আর কবিতা লিখে?
এতটুকুতেই না হয় থাক।
#Sep_26_2016
শেষ কথা
যতটা ভালবাসতে চেয়েছি ততটাই কি ভেসেছি?
যতটা ভালবেসেছি ততটাই কি তোমি উপলদ্ধি করতে পেরেছ?
যতটা অনুভূতি তোমার মাঝে ছিল ততটুকুই কি আমি বুঝতে পেরেছি?
বুঝা আর না বুঝার জগতে বসবাস করে না বুঝার পাল্লাটাই যে ভারী।
আমরা কেউ কি কখনো সে ভার হালকা করতে চেয়েছি? তাহলে কি লাভ আর কবিতা লিখে?
এতটুকুতেই না হয় থাক।
#Sep_26_2016
হঠাৎ একদিন এবং অতপর
কিন্তু তোমি একটা দিনই দেখলে।
সেই একটা দিনের পিছনের গল্পটা জানলে না
তোমার সামনে দু'মিনিট দাড়াব বলে
নিজেকে প্রস্তুত করেছি দু'সহস্র মিনিট ধরে।
তোমি তো শুধু একগুচ্ছ কদম ফুলই দেখলে
এর আগে কতগুলি ব্যর্থ ফুল
গোলাপ, জবা, জুই আর রজনীগন্ধা
দিবালোকে পাদুকায় পিষ্ট হয়েছে
তোমার কাছে যাবে যাবে করে।
সেই নিষ্পাপ ফুলের আর্তচিৎকার
তোমার কানে পৌছল না।
November 30, 2016
The Queen of Pulag
But for me she is daughter of Luzon.
And the queen of Pulag.
I never see her at a glance
I never hear her smiling voice
Cause she lives so far.
But I feel her ever.
Cause she also lives in my heart.
তবুও তো বেচে আছি
ভূলতে কি পেরেছি এক চিমটি?
হয়তো বা না।
পুরোনো ডায়রির পাতা নাড়াচাড়া করি,
লিখতে কি পেরেছি নতুন একটি কবিতা তোমাকে ছাড়া?
হয়তো বা না।
ষোড়শী অন্য কোন বালিকার চোখে সপে দিতে কি পেরেছি
তোমাকে নিয়ে দেখা স্বপ্ন?
তাও না।
কখনো বলিনি, তোমাকে ছাড়া বাচব না।
নিঃসঙ্গ দেহটাকে কি ঝুলিয়েছি দড়িতে?
না।
বেচে তো আছি।
তোমাকে ছাড়াও তো বাচতে পারি।
সেও এক জীবন।
ছন্দহীন, বর্ণহীন
এখানে শুধু একটা জীবনই আছে।
কিন্তু সে জীবনের কোন রং নেই
কোন বর্ণ নেই
কোন গন্ধ নেই
কোন স্বপ্ন নেই
কোন উদ্দেশ্য নেই
নেই কোন অনুভূতিও।
তবুও তো বেচে আছি।
October 13, 2016
আমারও একটি স্বপ্ন আছে
আমি মরে গিয়েছিলাম।
নিঃসার দেহটি পড়েছিল
তপ্ত সাহারার বুকে
একটা শকুনি আমাকে ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছিল।
তবুও আমার ভাল লাগত
কেননা, সেই শকুনিটাকে আমি ভালবাসতাম।
তিন বছরের ব্যাবধানে
যখন প্রায় নিঃশেষের পথে
ঠিক তখনই দেখা পেলাম
এক নতুন বসন্তের।
মরুভূমির বুকে শাখা মেলে দাড়াল
চিরহরিৎ সবুজের উদ্যান।
রঙ-বেরঙের নানা ফুল
ছুয়ে দিল আমার দেহ।
আমি ফিরে আসলাম
মৃত্যুর কূপ থেকে
দাড়িয়ে দেখি সামনে নতুন একটি পথ
নতুন একটা স্বপ্ন
আমি এখন সেই স্বপ্নের সাথে
আলিঙ্গন করতে চাই
আরও একবার খুজে পেতে চাই
বেচে থাকার মানে।
আরও একবার প্রত্যয় নিয়ে বলতে চাই,
আমারও একটি স্বপ্ন আছে।
কৃষ্ণপক্ষের অর্ধচন্দ্র
চারপাশ তখন অন্ধকার।
যেন মৃত-কাল মাহেন্ঞ্জদারো'র বুকে
জেগে উঠেছে একখানি সপ্তমীর চাঁদ।"
না সপ্তমীর চাঁদ হয় কি করে?
অনেক আগেই তো পূর্ণিমা হারিয়েছে
চতুর্দশীর কোন এক রাতে।
এ তো পূর্ণিমা খুইয়ে ফেলা
একবিংশের অর্ধচন্দ্র!
. আমি তাকে দেখে আসছি
অনেককাল আগে থেকেই...
চতুর্দশী বালিকার চোখে আমি দেখেছি
নিষ্পাপ অবুঝ ভালবাসা
ষোড়শী বালিকার চোখে দেখেছি
কামনাময় আবেগের ঢল
আর অষ্টাদশী বালিকার চোখে দেখেছি
সব কিছু হারানোর অভিমানী জল।
আর এ তো একবিংশের কথা।
এত বড় হয় কি করে?
মানুষ মাত্রই নাকি ভূল,
কবিরাও তাহলে মানুষ!
সপ্তমী আর একবিংশের চাঁদের মাঝে মিল কি?
দুটোই অর্ধচন্দ্র।
সপ্তমীর চাঁদ খুজে পূণিমার সাধ
আর একবিংশের চাঁদ
নিঃশেষ হতে চায়
হাজার বছরের মৃত-কাল
মাহেন্ঞ্জদারো'র অন্ধকারে।
কবিতাঃ_কৃষ্ণপক্ষের_অর্ধচন্দ্র
October 07, 2016
চন্দ্রাবতী
পাশাপাশি নয়
সামনা-সামনি।
যেন পুরানো দিনের হিসাব মিটিয়ে
নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হবে।
তোমার মুখে জ্যোৎস্না আছড়ে পড়ছে।
অথচ আমার মুখ
ঐ হাজার বছরের অমাবস্যায় ঢাকা।
চাঁদ তো একটাই
সামনা-সামনি দাড়ালে সে নিঃস্ব হয়ে যায়।
দুজনকে আলো দেয়ার ক্ষমতা তার নেই।
তোমি কি একটু আমার পাশাপাশি দাড়াবে?
হাতে রাখবে কি হাত?
তোমার হাতে হাত রেখে
পূর্ণিমার আলোর দিকে মুখ করে
আমরা হেটে যাব একটুখানি সময়।
#চন্দ্রাবতী
June 10 at 3:47am
মঙ্গলবার, ২ মে, ২০১৭
হাম হাম জলপ্রপাত
যতটা খারাপ ভেবেছিলাম ততটা না। ইতিমধ্য হাসানের ঘুম ভেঙেছে। বললাম তারাতাড়ি রেডি হতে। আমার ব্যাগ রাতেই ঘুছানো ছিল। ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পড়লাম পাচটা চল্লিশের দিকে। মদিনা মার্কেটে সজীবদা'র সাথে দেখা। রাহাত ভাই ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে সিলেট এসে পৌছে গেছে। সাবার অবস্থানই ভাল শুধু হৃদয়ই লা-পাত্তা। কোন খবর নেই। ফোনও বন্ধ অথচ সেই অন্যতম প্রধান উদ্যোগতা। আমি আর সজীবদা ভাবলাম হাসানকে ওর বাসা থেকে পিক করে নেব কিন্তু ওর বাসার সামনে আসার পর ও আরও পাচ মিনিটের মত লাগবে। হাসানের পাচ মিনিট হতে যে কত সেকেন্ড লাগে সেটা বিধাতার মর্জিমাফিক।
আমার ওর আশা ছেড়ে দিয়ে স্টেশনের দিকে ছুটলাম। সেখানে গিয়ে রাবিব ভাইয়ের সাথে একত্রিত হয়ে জানতে পারলাম রাতে হৃদয়ের কথা হয়েছে যে তারা সকালে একসাথে হাটতে হাটতে স্টেশনে চলে আসবে। কিন্তু সকাল থেকে আর কোন খবর নেই ছেলেটার। হাসান আর হৃদয় কি শেষ পর্যন্ত ট্রেন ধরতে পারবে?
আমি বারবার রাস্তার দিকে তাকাচ্ছিলাম। রাবিব বলল, আজকাল কেউ এভাবে রাস্তার দিকে তাকায় না, সবাই ফোন করেই লোকেশন জেনে নেয়। চা খেতে খেতে রাহাত ভাই যোগ দিলে আমাদের দলে। সারারাত জার্নি করে হাম হামের মত জায়গায় (আসলে অজায়গায়) যেতে হলে যতেষ্ঠ সাহসিকতার দরকার আছে।
২.
ট্রেন ছুটতে শুরু করল স্টেশন ছেড়ে। শেষ পর্যন্ত হাসান যোগ দিতে পারল আমাদের সাথে। কিন্তু হৃদয় মিসিং তখন পর্যন্ত। আমরা অনেকটাই হতাস। ট্রেন ছড়ার আগ মুহুর্তে পর্যন্ত ভাবছিলাম যে কোন মুহুর্তে হয়ত এসে যাবে সে। মানুষ হয়ে জন্মেছি বলেই হয়তো শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আশা ধরে রেখেছিলাম। যেমনটা মৃত্যুপথ পথযাত্রী আরও একটু বাচার আশা করে।
ঝকঝকাঝক শব্দে এগিয়ে চলেছে ট্রেন। হঠাৎ একটা বাকে শহর ছেড়ে সবুজের ভিতর হারিয়ে গেলাম। ছন্দময় ঝকঝকাঝক শব্দের সাথে হাওরের বর্ধিত পানিতে ডুবে থাকা ফলসের পাশ দিয়ে এগিয়ে চলল কালনী এক্সপ্রেস। রং-ঢং, হাসি-ঠাট্টার ছন্দে এগিয়ে চলছে ট্রেন।
৩.
হঠাৎ হৃদয়ের নাম্বার থেকে ফোন এল সজীবদা'র ফোন। বেচারা শেষ পর্যন্ত স্টেসনে এসেছে কিন্তু ট্রেন ততক্ষণে অনেকদূর।
ওকে বলা হল, বাস করে শ্রীঙ্গল চলে আসতে। কিন্তু সে আমাদের সঙ্গটা মিস করতে চাচ্ছিল না। হৃদয় তার হৃদয়ের জোর দিলে ছুটল সামনের পরবর্তী স্টেশনে। কিন্তুু পাচ মিনিটের ব্যাবধানে স্টেশন ছেড়ে ট্রেন যথারীতি সামনের দিকে। তখন পর্যন্ত আমরা নিশ্চত না হৃদয় আমাদের সাথে যোগ দিবে কি না।
যেহেতু সে তার দায়িত্বে গাফিলতি করেছে তারও শিক্ষা হওয়া উচিত বলেই আমরা বলাবলি করছিলাম কিন্তু আমরা বিশেষ করে চাইছিলাম ও যেন শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে যোগ দিতে পারে।
৪.
শ্রীমঙ্গল নেমে সবাই নাস্তার কাজটা সেরে ফেললাম। ঐখান থেকে হামহামের বাড়া সম্পর্কে একটা আইডিয়া নিলাম। ইতিমধ্য হৃদয় অন্য একটা ট্রেন ধরে প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। হৃদয়কে দেখা মাত্রই আমরা ওকে সোহাগ (কেলানী) করে বরণ করে নিলাম। দৌড়ের উপরে ওকে নাস্তা খাওয়ার মাঝে তিন চাকার CNG নামক প্রাইভেট কার ভাড়া করা হল। পানি, হালকা খাবার-দাবার ও প্রয়োজনী কিছু কেনাকাটার পরে গাড়ি ছুটে চলল হামহামের পথে।
হোটেল গ্রান্ড সুলতানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের বিতর্ক শুরু হল।
বিতর্কের বিষয়ঃ গ্রান্ড সুলতান নামেই ফাইব স্টার, ফ্যাসিলিটিতে না।
পক্ষেঃ হাসান, বিপক্ষে সজীবদা।
আমরা বাকীরা বিচারক।
লাউয়া ছড়ার মাঝখানে দিয়ে তুমুল গতিতে এগিয়ে চলছে গাড়ি আর সেই সাথে বিতর্কসভা।
শেষ পর্যন্ত সিনিওর বিচারকরা অমিমাংসিতভাবে বিতর্ক স্থগিতাদেশ দিল।
আমার কলাবাগান পাড়া নামক এক জায়গায় নামলাম।
যাত্রা কিন্তু তখনো শেষ হয়নি। এরপরই শুরু হয় মূলযাত্রা।
5.
কলাবাগান পাড়া থেকে বাকিটা হাটার পথ। কোন গ্রামের মেঠোপথ ধরে নয়, পাহাড়ের ভিতর দিয়ে। জংলী পাহাড়। ওখানে গিয়ে সবাই বাশের লাঠি কিনে নিলাম। এই বাশের শক্ত লাঠি পাহাড়ে চড়তে অনেক সাহায্য করে। যে কোন মুহুর্তে জোঁক হামলা করতে পারে। সেজন্য বাসা থেকেই লবণ নিয়ে এসেছি। একজন স্থানীয় গাইড নিলাম আমরা। যদিও আমাদের মাঝে শুধুমাত্র রাহাত ভাই'ই আগে এসেছে তবু তিনি নিজে গাইডের দায়িত্বে স্থানীয় একজনকেই নিলেন।
আমরা নাম এন্টি করে ডুকে পড়লামে জঙ্গল আর পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে। এ যেন আপ আর ডাউনের খেলা। শুনেছি সবচে' বড় পাহাড়টি ৭০০ ফুট উচু। তের চৌদ্দটির মত পাহাড় আছে। পথিমধ্যে মাঝে মাঝে অনেকের সাথে দেখা হচ্ছিল যারা ইতিমধ্য অভিযান শেষ করে ফিরছে। এদের চেহারার দেখেই বুঝা যাচ্ছিল তাদের পরিশ্রমটা। হটাতে হাটতে মনে হয় এ পথ বুঝি আর কখনো শেষ হবে না। সুযোগ পেলেই জোঁক হাতে বা পায়ের দিকে বসে কিস করছে। একটু চুলকানির মত ভাব হয়। চুলকানির পিচ্ছিল লাগে তখনই বুঝা যায় এটা কিসের চুলকানি। যখনই গাইডকে বলা হচ্ছিল আর কত দূর, আর কত দূর? গাইডের সেই একই উত্তর এই তো সামনেই। গাইডের কোন কসুর নেই। কেননা, গাইডকে আগেই উত্তরটা রাহাত ভাই শিখিয়ে দিয়েছিলেন। মধ্য দুপুরের ভ্যাপসা গরম যখন শরীরকে ক্রমশই নিস্তেজতার দিকে ঠেলে দিচ্ছিল তখনই আমরা একটা আকাঙ্খিত শব্দ শুনতে পেলাম। জলের স্রোতর শব্দ। তখনো প্রায় ৭০০ ফুটের মত উচ্চতায়। নিচে সবুজের বিস্তৃতঅঞ্চল। আমার তখন মরে যেতে ইচ্ছে করছিল। কে জানে মরার জন্য এর চেয়ে সুন্দর জায়গায় জীবনে যেতে পারব কি না!
পাহাড় বেয়ে নামতেই হাম হামের লেজের দেখা পেলাম। আমরা হাত-মুখ ভিজিয়ে নিলাম। এই জল ধরা ধরে এগুতে থাকলাম। ততক্ষণে সব ক্লান্তি বিজয় করে ফেলেছি আমরা। তীর ধরে হাটতে হাটতে আমরা হঠাতই দেখলাম প্রকৃতিকর্তার এক অপূর্বতা আমাদের সামনে। হাম হামের যে সৌন্দর্যরূপ দেখেছি সেটার বর্ণণা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভম নয়। শুধু এতটুকুই বলতে পারি, ফেরার পথে আমাদের একবারও মনে হয়নি আমরা কোন পরিশ্রম করছি। চোখের সামনে যেন একটা স্বপ্নময় মোহ চলে এসেছিল সেই মোহনায় আমরা ভেসে ভেসে চলেছি একটা পাহাড় থেকে আরেকটা পাহাড়ে।
বি.দ্রঃ ধৈর্যের অভাবে অনেক কিছুই লিখতে পারিনি বলে দুঃখিত।
শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০১৭
কৃষ্ণপক্ষের অর্ধচন্দ্র
"সামনে যখন তোমি,
চারপাশ তখন অন্ধকার।
যেন মৃত-কাল মাহেন্ঞ্জদারো'র বুকে
জেগে উঠেছে একখানি সপ্তমীর চাঁদ।"
.
না সপ্তমীর চাঁদ হয় কি করে?
অনেক আগেই তো পূর্ণিমা হারিয়েছে
চতুর্দশীর কোন এক রাতে।
এ তো পূর্ণিমা খুইয়ে ফেলা
একবিংশের অর্ধচন্দ্র!
.
আমি তাকে দেখে আসছি
অনেককাল আগে থেকেই...
চতুর্দশী বালিকার চোখে আমি দেখেছি
নিষ্পাপ অবুঝ ভালবাসা
ষোড়শী বালিকার চোখে দেখেছি
কামনাময় আবেগের ঢল
আর অষ্টাদশী বালিকার চোখে দেখেছি
সব কিছু হারানোর অভিমানী জল।
.
আর এ তো একবিংশের কথ।
এত বড় হয় কি করে?
মানুষ মাত্রই নাকি ভূল,
কবিরাও তাহলে মানুষ!
.
সপ্তমী আর একবিংশের চাঁদের মাঝে মিল কি?
দুটোই অর্ধচন্দ্র।
সপ্তমীর চাঁদ খুজে পূণিমার সাধ
আর একবিংশের চাঁদ
নিঃশেষ হতে চায়
হাজার বছরের মৃত-কাল
মাহেন্ঞ্জদারো'র অন্ধকারে।
.
October 07, 2016
মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
কমলিফুল
খুজে চলেছি একটি ফুল,
ঠিক নিজের মত করে।
জাত-অজাতে নানা ফুল চলে এল সামনে।
গোলাপের ফুল বলল,
"আমি গোলাপ
ফুলের রাণী।
আমার সৌন্দর্যে ধরণী অভিভূত,
রাজ বিলাসিতার প্রতিক।
তোমি কি আমায় খুজছ?"
.
"না, আমি কোন যুবরাজ নই,
বিলাসিতা আমাতে হয় না।"
গোলাপ এবার ঐশর্য্য মেলে ধরল।
"গোলাপ ফুল তোমি সত্যিই সুন্দর।
কিন্তু এ আমার জন্য নয়"
গোলাপফুল তার অভিজাত্যে ধরে রেখে ফিরে গেল।
গন্ধরাজও তার সহচর।
.
তারপর সামনে এসে দাড়াল রজনীগন্ধা।
অতি সাধারণ দেখতে।
ভালই লাগল।
বলল, "দিনে আমাকে এরকম সাধারণই দেখায়
কিন্তু, রাতে আমি নিজেকে বিকশিত করি।
গন্ধে মাতাল হয়ে সবাই পতঙ্গের ন্যায় ছুটতে থাকে।"
.
"না, আমি চেয়েছিলাম সাধারণ একজন,
যে সর্বদা একই রূপে ধরা দেবে।"
যদিও সে এখন মিনতি করছে
আমি বেলা পড়ে এলে সে আর আমার থাকবে না।
তাকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার ক্ষমতা আমার নেই।
হাছনা-হেনা, বকুল, জুই...
এরা কেউ এমন নয়,
যেমনটা আমি চাই।
.
আমি হাটতে হাটতে চলে এলাম
কোন এক অর্ধমৃত নদীর তীরে।
নদীর অববাহিকায় সারি সারি কমলি গাছ।
কতগুলি সবুজ পাতার ফাকে একটি কমলি ফুল
বাতাসের স্রোতে একটু উকি মেরে
আবার নিজেকে আড়াল করে নিচ্ছে
এই তো সে।
তাকেই তো আমি খুজছি।
ঠিক এমন একজন
যেমনটা আমি চাই।
বললাম, "এত লজ্জা কি তোমার?"
বলল, "লজ্জাই তো আমার অহংকার"
বললাম, "হে কমলিফুল, তোমি কি আমার হবে?"
কমলিফুল কোন রকমে এক পলক তাকিয়ে বলল, "জানিনা"।
বেচারী আবার সবুজ পাতার আড়ালে চলে গেছে।
বড্ড লাজুক ফুল।
এই তো সে।
তাকেই তো আমি খুজছি।
ঠিক এমন একজন
যেমনটা আমি চাই।
হে কমলিফুল, "আমি তোমাকে ভালবাসি"।
শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
তোমার জন্য একটুখানি
তোমার জন্য কিছুই করিনি।
তোমার অজান্তে অল্প-সল্প করেছি।
আচ্ছা ধরে নাও,
একটুখানি করেছিই তোমার জন্য
হৃদয়ে ছোট একটি কুঠি সাজিয়েছি
তবে, আরও একটুখানি করতে চাই তোমার জন্য।
কি করা যায় বলতো?
ঐ কালো হাতটি কেটে দেই?
যে হাতটি তোমার হাতটাকে একবার ধরে
একটা সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখিয়ে
তারপর সময়ের প্রয়োজনে
আবার ছেড়ে দিয়েছিল।
আর কি করা যায়?
ঐ কালো হাতের লাল রক্ত দিয়ে
মেহেদী পড়িয়ে দেই তোমার হাতে
পায়ে পড়িয়ে দেই আলতা
আর সিথিতে লাল সিঁধুর
শোন।
সিঁধুরের লাল আসবে কিন্তু আমার হৃদয় থেকে।
মেহেদী হাতে, আলতা পায়ে আর লাল সিঁধুর পরে
তোমি এক হাজার বছর বাস করবে
আমার হৃদয় কুঠিতে।
শুধু আর এতটুকুই না হয় করি তোমার জন্য।
#AH_Kawsar
Feb 14, 2017
বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
নিসঃঙ্গ গ্রহচারী
হেটে চলেছি আমরা ক'জন
কৃষ্ণগহ্বর থেকে মঙ্গলীর পৃষ্ঠতলে
আমরা কজন একসাথে
তবুও নিঃসঙ্গ প্রতিজন।
কোন এক প্রারম্ভিকতার কালে
আমি আটকে গিয়েছিলাম শনির বলয়ে
আমি ছুটছিলাম পরিবৃত্তের শেষ স্পর্স বিন্দুটি ধরে
তখন আমার টগবগে গরম রক্ত
হঠাৎই সেই গরম রক্তের অনুভূতিহীন হৃদয় পেয়েছিল
একটুখানি সিক্ত স্নিগ্ধতার ছোয়া।
উদ্ভিদের চারার মত তরতর করে বেড়ে উঠে
কতগুলি অর্থহীন স্বপ্ন।
কতগুলি লাজুক চাহুনি হৃদয়ে দোলা দিতে লাগল
আমি ছুটছিলাম সে স্পন্দনের ছন্দেই।
কালের পরিক্রমায় একদিন দেখি
ছন্নছাড়া সূর্য নামের নক্ষত্র।
একটা মহাজাগতিক ঝড়
শুক্র, বুধ, বৃহস্পতিতে অস্থিত্বহীনতার যুদ্ধ।
ছিটকে পড়লাম অন্ধকারে
সেই কৃষ্ণগহ্বরের এক বিন্দুর সাথে
ছোট একটি কণিকা হয়ে মিশে গিয়েছিলাম আমি।
কোন এক অজানা রহস্যময়ী হাসিতে
স্ফীত হতে থাকে সে শ্যামা বিন্দুটি।
বলুনের মত ভাসতে ভাসতে
অবতরণ করি অজানা এক গ্রহে।
এখানে আছে আমার মত আরও কয়েকজন।
সময় আর হৃদয় খুইয়ে ফেলা কতগুলি দেহ।
এই গ্রহটিরও দুটি উপগ্রহ আছে
ঠিক যেন মাধুরীর ঐ দুটি চোখ।
আমরা তার নাম দিলাম মঙ্গলী।
...
হেটে চলেছি আমরা ক'জন
কৃষ্ণগহ্বর থেকে মঙ্গলীর পৃষ্ঠতলে
আমরা কজন একসাথে
তবুও নিঃসঙ্গ প্রতিজন।
#কবিতাঃ_নিসঃঙ্গ_গ্রহচারী
#By_AH_Kawsar
12.17.55pm February 11, 2017