শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৬

ভালবাসার সরূপ

পৃথিবীতে স্বার্থ ছাড়া কোন ভালবাসা নেই। মা-বাবা'র ভালবাসা হচ্ছে জিনগত প্রজাতি রক্ষার স্বার্থ যেটাকে আমরা নিঃস্বার্থ বলে ভাবি। আপনাকে আপনার বাবা-মা যেভাবে ভালবেসেছে আপনিও সেভাবেই আপনার সন্তানদের ভালবাসবেন। সন্তানদের যতটা ভালবাসা যায় মা-বাবা'কে ততটা না। কারণ, প্রকৃতিকর্তা ভবিষ্যতকেই বেশি প্রাধান্য দেয়।

আরেটা ভালবাসা হচ্ছে জৈবিক স্বার্থ। এতে আপনি আনন্দের সাথে নতুন জীবনের আগমন ঘটান। প্রকৃতিকর্তা আপনাকে এক অভাবনীয় আনন্দ দিয়ে তার স্বার্থ হাসিল করে। এ এমনি এক আনন্দ! মানুষ তো বটেই নিরীহ পশুও যুদ্ধ করে। অবশ্য,  কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ পশুর চেয়ে খারাপ। সমকামীতার ব্যাপারে আমি কনফিউজড। আমার ধারণা এটা বিকৃত রুচি। নাকি প্রকৃতির কোন নতুন খেলা কে জানে।

আর ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব আর যত আত্মীয়-সজন সবই ব্যক্তিস্বার্থের প্রয়োজনীতার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে আবার স্বার্থে টান লাগলে ভেঙ্গেও যায়।

বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৬

লজ্জা

_______________________
জ্বলে জ্বলে ক্লান্ত সূর্য।
সন্ধ্যায় ঘুমিয়েছে,
সকালে উঠবে।
আমিও জ্বলি
রাত জেগে জেগে
দিবাকরকে ফাকি দিয়ে।
যেদিন ভালবাসা শিখেছিলাম
সেদিন বলেছিলাম আমৃত্যু পাশে থাকব।
সে অনেক দিন আগের কথা
তখন কোন প্রেমময় বসন্ত ছিল না
আকাশের বুক ফাটানো গ্রীষ্মের দুপুর
ভাস্কর সেই সময়ের সাক্ষী।
সে সাক্ষী হতে চাইছিল না
আমি প্রকৃতিকর্তার দোহাই দিয়েছিলাম
তাই তো লজ্জায় তাকে মুখ দেখাতে পারিনা।
আমি রাতে, রবি দিনে
জ্বলে যাই নিরবধি
আর লজ্জায় কেউ কাউকে মুখ দেখাতে পারি না।
অন্ধের মত প্রেম ছিল,
বেচে থাকার মত একটা স্বপ্ন ছিল।
বাহাদুরি করার করা ভালবাসা ছিল।
আজ কিছুই নেই।
আছে শুধু লজ্জা।
সবার থেকে আলাদা করার জন্য নির্মম এক ইতিহাস।

শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০১৬

জার্নি বাই বোট

উপরে তুষার শুভ্র মেঘে মেঘে ছেয়ে আছে নীলাকাশ। সেই আকাশে ভেসে বো বো শব্দ করে মেঘমালাকে ছেদ করে উড়ে গেল ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ছেড়ে আসা বিমানটি। পাশেই রাস্তা। সেখান দিয়ে দুই-তিন-চার চাকার গাড়ি প্রান্তিক পানে ছুটে যাচ্ছে। তারও একটুখানি নিচে পানির তরঙ্গরাশি বয়ে চলেছে সাগরের টানে। তার উপর যে ছোট একটি নৌকা স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে চলছে সেটিরই একবারে সামনের পাটাতনে আমি বসে আছি।

"ঢেওয়ের তালে নৌকা দুলে তার সাথে দেহ,
দেহের সাথে মনও নাচে আসবি তোরা কেহ?"

সামনে নীল দিঘন্তের দুই প্রান্ত স্পর্স করা মেঘালয়ের পাহাড়। আমার গন্তব্যস্থান ঐ পাহাড়ের পাদদেশের ছোট্ট একটি গ্রামে।

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

হাসপাতালে এক রাত

আমার চারপাশে মৃত্যু ঘুরঘুর করছে। কতগুলি অসুস্থ মানুষের সাথে জীবন মৃত্যুর কানামাছি খেলা চলছে। মাঝে মাঝে স্বজনদের আহাজারি শুনা যাচ্ছে, এই বুজি মৃত্যু আরও একজনকে গ্রাস করেছে। যুবকটি সজোরে চিৎকার করছে। তার সামনের সোনালী দিনগুলি উপভোগ না করে সে এই পৃথিবীর স্মৃতি হতে রাজি নয়। ঐখানে এক বৃদ্ধ যন্ত্রনায় উল্টো হয়ে পড়ে আছে। আরেক বৃদ্ধ হাকরে বড় বড় নিঃশ্বাশ নিচ্ছে, যে কোন মুহুর্তে শেষ নিঃশ্বাশ ত্যাগ করতে পারে ভেবে স্বজনরা নিরবে অশ্রু নির্বাসন দিয়ে চোখ মুছছে। তার অল্প বয়সী তরুণ ছেলেটা ছেলেদের কাদতে নেই প্রবাদ ভূলে একটু পর পর গোমড়ে উঠছে। কি নির্মম এ পরিবেশ আর জীবনের সাথে কত সাবলিল সে উপহাস! এ আমাদের অতীত নয়, আমাদের প্রত্যেকের চিরন্তন ভবিষৎ।

মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১৬

জার্নি বাই ট্রেন

ট্রেন চলার ভঙ্গিটা দারুণ। প্রথমে এনাকোন্ডার মত নড়েচড়ে ওঠে বিশাল দেহাকার ট্রেনটি। তারপর কচ্ছপের মত আস্তে আস্তে এগুতে থাকে সামনের দিকে.......

তারপর ঝকঝক শব্দের সিমেট্রিকাল প্যাটান। মনে হয় এর কোন আদি বা অন্ত নেই। হঠাৎই একটা বাকে শেষ হয়ে যায় পাথুরের নগরী আর সামনে চলে আসে উন্মুক্ত দিঘন্ত। সবুজ বা সোনালী মাঠের সাথে মিশে যাওয়া সেই নীল দিঘন্তের ওপারে কে না হারাতে চায়?

বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬

বৈশাখী ললনা'১৪২৩


_________________
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি
রক্ত রঙে লাল হয়ে আছে কৃষ্ণচূড়ার ডাল।
আমি অবাক হয়ে হাটতে থাকি...
আজকের সকালটাকেও মনে হয় নতুন,
আর কয়টা দিনের চেয়ে আলাদা।
আমগুলি হঠাৎই পরিপক্ব হয়ে গেছে।
কাঠালগুলিও।
ব্যাপার কি?
গতকালই তোমাকে দেখেছিলাম
চৈত্রসংক্রান্তিতে ঘরদোর ঝেড়ে
কৃষ্ণকায় হয়ে গিয়েছিল সেই শ্যামা মুখ।
তবুও এক তিলেক হাসি রাঙিয়ে দিচ্ছিল
বসন্তের শেষ বিকালটিকে।

আমি হাটতে হাটতে তোমার সামনে চলে এলাম।
লাল শাড়ী-চুড়ি-টিপ আর
সিধুঁরের অপূর্ব মিশ্রণ।
ছোট ছোট ঘামের বিন্দু তোমার সারা মুখে ছড়িয়ে আছে।
সেই ঘামের বিন্দু...
সে তো শুধু শ্যামা মুখের সৌন্দর্যই বাড়িয়েছে।
আমি স্থব্দ।
কোন অলৌকিক মোহে নয়।
তোমার সাবলীল সৌন্দর্যে।
এত রূপ তোমার।
আমি তিনশত পঁয়ষট্টিবার নিজেকে হারিয়ে একবার খুজে পাই।

এতক্ষণে আমার মনে হল আজ বৈশাখ।
বৈশাখ এসেছে তোমার শাড়ির আচল ধরে।
তোমি লাল শাড়ি পড়েছ বলেই
বৈশাখ ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ।
তোমার চুড়ির রঙে রাঙাল
কৃষ্ণচূড়ার সবকটি হাত।

কিন্তু এখানেই তো শেষ নয়।
তোমার কালকেশে নিমিষেই রঙ বদলাল আকাশ।
কালবৈশাখী ঝড় নেমে এসেছে ঈষান কোনে।
কখনো বা বিদ্যুৎ ঝলকানি,
কখনো বা কুলনাশা তান্ডব
চলতেই থাকবে।
এই তো তোমি।
এই তো তোমার বৈশাখ।
কখনো ভাসাবে, কখনো হাসাবে
কখনো জাগাবে প্রেম।

আমি আবারও হাটতে থাকি পিছু।
আমি আর তোমি।
তোমি আর আমি।
পথে কখনো বর্ষা, কখনো শীত।
হেমন্তের সোনালী মাঠ আর
শরতের কাশবন ধরে আমরা হাটতেই থাকি।
চৈত্রসংক্রান্তি শেষে আরও একবার
লাল শাড়ী পড়বে তোমি।
আর সেই শাড়ির আচল ধরে
চলে আসবে আরও একটি বৈশাখ।

★★★
রচনাকালঃ পহেলা বৈশাখ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ।

স্বপ্ন ও সত্যি

তখন ছেলেটির বয়স প্রায় ১৩। হঠাৎ তার ভেতরে করেই একটি কবি মনের জন্ম হল। ছোট ছোট সব কবিতা। দেশের কবিতা, দশের কবিতা। সহজ, সরল সব পঙ্কতি। দুই বছর পর দেহ-মনে কি সব পরিবর্তন হল। শিশু ছেলেটি কিশোর হতেই মনে প্রেম জাগল। ভাললাগার ভালবাসার সব কথা চলে আসত কাব্যচরণে। কতগুলি ভাললাগার মাঝখানে একটি ভালবাসা আলাদা হয়ে গেল। ভালবাসার মান অভিমান সবই কাব্যাংশ হয়ে জমে থাকত ডায়রির পাতায়। কাব্য জগতের শুধু চিন্তায় নয়, চেতনায় মিশে গেল সে ভালবাসাটি। এক সময় কাব্যজগতের অস্তিত্বের সাথে মিশে ভালবাসা।

কাব্যরাজ্য যখন ভালবাসার পিছু ছুটছিল আছমকাই হারিয়ে গেল ভালবাসাটি। কাব্যরাজ্যে নেমে অস্থিত্বহীনতার অন্ধকার। তারপর, মৃতপ্রায় কাব্য মনটি হাহাকার করে। জীর্ণদশা কাব্য মনটির শেষ বেলার আর্তনাতটুকু আশেপাশের কাছে দূরের মানুষগুলির কাছে বিরক্তির জন্মই দেয় শুধু....

আর সেই ১৩ বছরের বালকটি, সে এখন এক স্বপ্ন ছাড়া যুবক। অন্যের স্বপ্ন পূরণ করাই এখন তার লক্ষ। নিজের স্বপ্ন যেখানে মৃত, জীবন একটা বোঝা ছাড়া কিছুই নয় সেখানে অন্যের স্বপ্ন পূরণ করা সহজ নয় তবুও যুবকটি প্রতিঙ্গাবদ্ধ কারণ তাকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছে সে তার অপরাজেয় পিতা। জীবনে যে হারেনি, পুত্রের কারণে সে নিশ্চয় হারতে পারেনা, তাই নয় কি?

বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১৬

মুখবন্ধ

লজ্জায় মরে যাই যখন দেখি বাংলাদেশও বর্ণ প্রথার বাইরে নয়। এদেশে বর্তমানে দুটি বর্ণ প্রধান জাতি আছে। একদলের বাবারা মুক্তিযোদ্ধা। এদের চাকরির জন্য আলাদা রিজার্ভ সিট থাকে। আরেক দলের বাবা রাজকার। তারা কোন ভাবে আগে চাকরি পেয়ে থাকলেও তাদের চাকরিচ্যুত করতে মুক্তিযুদ্ধ স্বপক্ষীয় মিডিয়া অঙ্গিকার বদ্ধ।
আসল কথাই আসি। আমি বিশ্বাশ করি, প্রতিটা মুক্তিযোদ্ধা যেমন দেশের গৌরব কালের কষ্টিপাথরে যাচাই করা খাটি সোনা, ঠিক তেমনি আবার রাজকার ঘৃনিত, ইতর জাতীয় কালের কলঙ্কিত অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধাদের আজীবন সম্মানীয় আর অমানবিকতার জন্য রাজকারের শাস্তি দুটোই মহৎ কাজ। কিন্তু এ ব্যাপারটা এ যুগেই থাকা উচিত। পরবর্তী প্রজন্মকে এর সাথে না জড়ানোই ভাল। পিতার কর্মের পুরস্কার বা তিরস্কার পিতাকেই দেওয়া উচিত। প্রত্যেক মানুষের তার  চিন্তা চেতনায় স্বাধীন। তাই আমি মনে করি বিষয়টিকে নিয়ে নতুনভাবে ভাবে ভাবার সময় এসে গেছে।

সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

ভাষা ও বিকৃতি

ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা ভাষার মাস বলে ঝাপিয়ে পড়ি। ভাষা গেল ভাষা গেল বল চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। বাকী এগার মাস যেন ইশারা-ইঙ্গিতের মাস।

কতক সূধীবৃন্দ বাংলার সাথে অন্য ভাষার মিশ্রণকে অলঙ্ঘনীয় পাপ মনে করে (যদিও বেশির ভাগেরই সন্তানদের কিন্ডারগার্টেন বা ইংলিশ মিডিয়ামে অধ্যয়নরত)। এক ভাষার সাথে যদি অন্য ভাষার মিশ্রণ না ঘটত তবে বাংলা ভাষার জন্মই হত না। বাংলা ভাষা হল প্রাকৃত ভাষার মাগধী রূপ। সংকৃতি ভাষাকে সাধারণ মানুষ বিকৃত করেছে বলেই বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে।

বাংলা শব্দ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে সেখানে
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাতি দারা নিয়ন্ত্রিত, প্রভাবিত বা অধিকৃত হওয়ার কারণে আরবি, উর্দু, ফার্সি, পর্তুগিজ, ইংরেজী শব্দগুলি বাংলা শব্দভান্ডার শুধু বৃদ্ধিই করেনি ভাষার মাধুর্যতাও বৃদ্ধি করেছে।

ভাষাবিদদের মতে প্রত্যেক ১০ কি.মি অন্তর অন্তর ভাষার পরিবর্তন ঘটে। সেগুলো কি তাদের মাতৃভাষা নয়? মাতৃভাষা মানে বাংলা একাডেমিতে সংরক্ষিত বাংলা ভাষা নয়। ভাষাকে কখনো পুস্তকে আটকে রাখা যায় না, যদি যেত তবে হস্ত থেকে হত্থ হয়ে আজকের হাত হত না।
সোজাভাবে বললে মায়ের ভাষা বলতে মায়ের মুখের নিঃসরিত অর্থবোধক ধ্বনি। আমাদের মায়েরা আজকাল ভালই ইংরেজী ভাষা জানেন। তাদের মুখ থেকে শুনে শিখা ভাষাটা কি আমাদের মাতৃভাষা না? আমি আগেই বলছি ভাষার পরিবর্তনই ভাষার স্বাভাবিক রীতি, তাহলে কেন ভাষাকে আটকে রাখার এই মিথ্যা প্রচেষ্টা? আসুন না আরও কতগুলি শব্দ যোগ করি আমাদের মাতৃভাষার শব্দভান্ডারে।

শনিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬

আমার সবগুলা ক্রাসঃ

১. অধরা স্পর্স (ছদ্মনাম, আমার দেওয়া)
জীবনের প্রথম ক্রাস... খুব কাছের বন্ধু না হলে স্পর্সের কথা কাউকে বলিনা। ফেসবুকে এখনো ফ্রেন্ডলিষ্টে আছে... একবার ওকে ব্লকও মেরেছিলাম।

২. মিলি (প্রথম ভালবাসা)
প্রথম ক্রাস খুবই ছোটবেলার, প্রথম ভালবাসাও। আমি ইচড়ে পাকা ছিলাম বলে এ অবস্থা। মিলি সাথে মাত্র  আমার দু-একটি কথাই হয়েছিল, ওর হাসি আমাকে আমাকে এত মুগ্ধ করেছিল আজও ডাকে আমায়। জানিনা কোথায় আছে, কেমন আছে মিলি। যদি ও কখনো জানতে পারে একযুগ ধরে কেউ তাকে নিরবে-নিভৃতে ভালবাসে...

৩. সোনিয়া
টিন এজের প্রথম ক্রাস। অনেকগুলি কবিতা আছে তাকে নিয়ে। সে আর আগের মত নেই, আমিও না।

৪. তিষা
দীর্ঘকাল নিজের বধূরূপে তাকে ভেবেছি। এখনও বিষাধের পবনে তার জন্য হাবুডুবু খাই। আমার সুদীর্ঘ প্রনয় তার সাথে। বিয়ের পূর্বে ৮ বছরের সম্পর্ক অথচ ৮ সেকেন্ডর জন্যও ওকে বিশ্বাশ করতে পারিনি। আর এটাই আমার জীবনের সবচে' বড় ব্যর্থতা।

৫. মোহনা
ওর নাম আইরিন। ক্ষণিকের তরে আমাদের ক্লাসে এডমিশন নিয়েছিল বলে  আমার একটি কবিতার শিরোনামে ওকে মোহনা বলে উল্ল্যেখ করেছি। এত কিউট ছিল মেয়েটা তার চোখ একবার আমার চোখ পড়েছিল... আর ফেরাতে পারিনি। ফলাফল, সামানের বিমের সাথে বিশাল ধাক্কা।

৬. মিষ্টি
ওর আসল নাম সুইটি। নিজেকে আমার কাছে মেলে ধরেছে মিষ্টি নামে। নামের মতই মিষ্টি ও... ধর্মে সনাতনী। যে কয়েক ঘন্টার জন্য মিষ্টিকে পেয়েছিলাম তাতেই ও যতটুকু মুগ্ধতা ছড়িয়েছে আমরন মনে রাখার মত।

৭. কলমিফুল (অধরা স্পর্স ২)
সে যখন লাজুক হেসে চোখ নামিয়ে নেয়,
আমি পাগল হয়ে যাই।

শুক্রবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৬

স্মৃতির পাতায় ২০১৫

গত বছরের স্মৃতি চারনায় সর্ব প্রথম যে বিষয়টিকে এগিয়ে
রাখব তা হল বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন। অনেক কিছু
শেখার অনেক কিছু বুঝার অনেক কিছু জানার আছে
এখানে। সেভাবে জানার চেষ্টা করিনি বলে হয়ত
অনেক কিছুই শেখার বাকী থেকে গেল। মেস লাইফ
সল্পকালীন হলেও Kamran এর সঙ্গ ভূলার মত নয়। রাসেল
ভাইয়ের প্রতি আপনা-আপনি একটা শ্রদ্ধাবোধ চলে
এসেছে। Ab, Saruar কথাও মাঝে মাঝে ভাবি।
বাসা নেওয়ার পর থেকে ফুফু-ফুফা নানা ভাবে
সহযোগিতা করে আসছেন। আমি একটু লাজুক টাইপের
বলে কিছুর দরকার কি না নিজে থেকে এসে জিঙ্গাসা
করেন।
Shahab Uddin ভাইয়ের সাথে ঢাকার অসম্পূর্ণ মিশনটা
মন্দ ছিলনা। ভাতিজা হেলালের সাথে পরের মিশনটা
ছিল খামখেয়ালীপনার চুড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। শ্রীমঙ্গল
মিনিট্যুরটাও দারুণ ছিল। যদিও বাজেট ক্রসিং হওয়ার
জন্য বেশ কদিন ভুকতে হয়েছিল।
আমি আমার মত থাকতে ভালবাসি। অবসর সময়ে একা
একা প্রিয় মানুষগুলিকে নিরবে মিস করে যাই। কখনোই
বলতে ভাল লাগেনা আমি তোমাকে ভালবাসি কিংবা
আমি তোমাকে মিস করি। আমি বিশ্বাশ করি এগুলো
মুখে বলার বিষয় নয়। মুখে বলে বোঝানোও যায় না, হৃদয়
দিয়ে অনুভব করতে হয়।
কতগুলি মানুষ তারা জানেনা যে আমি তাদের অনেক
ভালবাসি।
মা-বাবা, ছোট ভাইবোন, Archi-9 এর ২০ জন, নাহিদ, রূমী
আন্টি (যদিও বেশী রাগের জন্য দূরে দূরে থাকি) , Noyon,
Noyon আপা, ভাতিজা Jamal ....... love you all.