তখন ছেলেটির বয়স প্রায় ১৩। হঠাৎ তার ভেতরে করেই একটি কবি মনের জন্ম হল। ছোট ছোট সব কবিতা। দেশের কবিতা, দশের কবিতা। সহজ, সরল সব পঙ্কতি। দুই বছর পর দেহ-মনে কি সব পরিবর্তন হল। শিশু ছেলেটি কিশোর হতেই মনে প্রেম জাগল। ভাললাগার ভালবাসার সব কথা চলে আসত কাব্যচরণে। কতগুলি ভাললাগার মাঝখানে একটি ভালবাসা আলাদা হয়ে গেল। ভালবাসার মান অভিমান সবই কাব্যাংশ হয়ে জমে থাকত ডায়রির পাতায়। কাব্য জগতের শুধু চিন্তায় নয়, চেতনায় মিশে গেল সে ভালবাসাটি। এক সময় কাব্যজগতের অস্তিত্বের সাথে মিশে ভালবাসা।
কাব্যরাজ্য যখন ভালবাসার পিছু ছুটছিল আছমকাই হারিয়ে গেল ভালবাসাটি। কাব্যরাজ্যে নেমে অস্থিত্বহীনতার অন্ধকার। তারপর, মৃতপ্রায় কাব্য মনটি হাহাকার করে। জীর্ণদশা কাব্য মনটির শেষ বেলার আর্তনাতটুকু আশেপাশের কাছে দূরের মানুষগুলির কাছে বিরক্তির জন্মই দেয় শুধু....
আর সেই ১৩ বছরের বালকটি, সে এখন এক স্বপ্ন ছাড়া যুবক। অন্যের স্বপ্ন পূরণ করাই এখন তার লক্ষ। নিজের স্বপ্ন যেখানে মৃত, জীবন একটা বোঝা ছাড়া কিছুই নয় সেখানে অন্যের স্বপ্ন পূরণ করা সহজ নয় তবুও যুবকটি প্রতিঙ্গাবদ্ধ কারণ তাকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছে সে তার অপরাজেয় পিতা। জীবনে যে হারেনি, পুত্রের কারণে সে নিশ্চয় হারতে পারেনা, তাই নয় কি?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন