শনিবার, ২৯ মে, ২০২১

ফেরা

তোমায় একবার দেখার লোভে
স্বর্গ ছেড়ে ধূলোর পৃথিবীতে পা রাখার সাহস করেছিলাম।
দেখিতে কেবল আরও একটিবার
জন্মাতে যেন পারি সহস্রবার...
 
জন্ম ব্যাপারটা মৃত্যুর মত এত সহজ নয়।
ঠিকে থাকার লড়াই প্রতি মুহূর্তে
অস্তিত্ব বিলীন হবার আশংকা,
তীব্র আকাঙ্খায় ভেতর জলে পুরে ছাড়খার
তবুও ফিরে এসেছি আবার।
দেখিতে কেবল আরও একটিবার।

বুধবার, ২৬ মে, ২০২১

প্রণয় গাঁথা

We don’t fall in love anymore,
Just pick someone, better in adjust.

অনেককাল আগে আমি প্রেমে পড়েছিলাম।
কত স্নিগ্ধ, কত পবিত্র, কত অসাধারণ তার অনুভূতি!
বলে কি ব্যাখ্যা করা সম্ভব?
যেন স্বর্গ নেমে আসে মৃত্তিকায় ধরণীতে
কি আকাঙ্খা, কি উচ্ছ্বাস, কি কামনা
কেবল দেখিতে একটিবার
যেন করিতে পারি সব।

না দিন না রাত, ভোর কিংবা মধ্যরাত
কত অপেক্ষা, শত প্রতীক্ষা
কেবল পাওয়া যায় যদি তার ছায়া...
জাগরণ-নিদ্রায়, চেতন কিংবা অবচেতন তদ্রায়
কেবলই সে, আর তার মোহ-মায়া।

সকালে সুগন্ধি শোভা, বিকালে রক্তিম আভা
দুপুরের তপ্ত রোদ্দুর, রাতের কৃষ্ণকালো
সহস্র কাল আগে, রাগে-অনুরাগে
কাউকে ভেসেছিলাম ভালো।

নিভৃত প্রেম

আজ হতে শতবর্ষ পরেও লোকে বুঝতে পারবে
উদাস কবির জীবনে কেউ এসেছিল নিভৃতে।
সংসার জীবনের এক যুগ পেরিয়ে যাবার পর হয়ত
গৃহিনীর নিরব আক্ষেপ হয়ে যাবে।
প্রতিরাত তার পাশে শোয়ে থাকা মানুষটি অন্য কারো চিন্তায় নিমগ্ন।
হয়তো কোন একটা তুমিও উপলব্ধি করতে পারবে
এক সময় তোমার পাশে থাকা মানুষটি তোমায় কত ভালবাসত
যখন বোধদয় হবে তখন যে কিছুই বাকী থাকবে না
জীবন এগিয়ে যাবে
সময় থমকে যাবে;
অসংখ্য বিচিত্র দিনের সাথে একটি রাত বারবার ফিরে আসবে
তীব্র প্রেমানুভতি আর না বলা গল্পগুলো নিয়ে।

শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১

এবং সে

অনেক খোঁজার পর তার দেখা পেলাম।
যার নাম শুনলেই ঠোঁটের কোণে একটা হাসি ফুটে উঠে।
ডাগর চোখের গভীরতা হৃদয়ে দ্যুতির রশনী জোগায়
যার জন্য কোন মুশকিলে পড়ে গেলেও খারাপ লাগে না।
বরং খানিকটা আনন্দই হয়।
যার সাথে চলা প্রতিটি কদম আরও দু-কদম সামনে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়
লোক-নিন্দা অমৃতের মতো লাগে।
যার সাথে কাটনো মুহুর্তগুলিকে মনে হয়
স্বর্গলোক থেকে ধার করে আনা।
মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরানো দায়,
কেবলই মনে হয়, এই তো আমার স্বর্গ।

তৃষ্ণার্ত কবি

এ জন্মে আমি কবি হয়ে জন্মাতে চেয়েছিলাম।
ততদিনে কর্পোরেট দুর্ভিক্ষে খেয়ে নিয়েছে পৃথিবীর পুরোটাই;
কবিত্বের তৃষ্ণা নিয়ে পেটের দায়ে কেউ অফিসের পিয়ন কেউ বা বস
কেউ কেউ বা স্বত্বাধিকারী।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখক রূপে কতবার যে সাহিত্যকে ধর্ষণ করে গেল
তার হিসাব না হয় নির্লজ্জভাবে স্তুপচাপা দিয়েই রাখল।
আমার আর কবি হওয়ার সাহস হয়ে উঠল হল না।
নিরবে ঢাকা পরে মৃতপ্রায় কবির আর্তচিৎকার।
তা তে কার কি আসে যায়...
আফসোস; এ জন্মে আমি কবি হয়ে জন্মাতে চেয়েছিলাম!