মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭

কি লাভ আর কবিতা লিখে

যতটা ভালবাসতে চেয়েছি
ততটাই কি ভেসেছি?
যতটা ভালবেসেছি
ততটাই কি তোমি উপলদ্ধি করতে পেরেছ?
যতটা অনুভূতি তোমার মাঝে ছিল
ততটুকুই কি আমি বুঝতে পেরেছি?

বুঝা আর না বুঝার জগতে বসবাস করে
না বুঝার পাল্লাটাই যে ভারী।
আমরা কেউ কি কখনো সে ভার হালকা করতে চেয়েছি?
তাহলে কি লাভ আর কবিতা লিখে?
এতটুকুতেই না হয় থাক।
#Sep_26_2016

শেষ কথা

যতটা ভালবাসতে চেয়েছি ততটাই কি ভেসেছি?
যতটা ভালবেসেছি ততটাই কি তোমি উপলদ্ধি করতে পেরেছ?
যতটা অনুভূতি তোমার মাঝে ছিল ততটুকুই কি আমি বুঝতে পেরেছি?

বুঝা আর না বুঝার জগতে বসবাস করে না বুঝার পাল্লাটাই যে ভারী।
আমরা কেউ কি কখনো সে ভার হালকা করতে চেয়েছি? তাহলে কি লাভ আর কবিতা লিখে?
এতটুকুতেই না হয় থাক।
#Sep_26_2016

হঠাৎ একদিন এবং অতপর

শুধু একদিন ফুল হাতে তোমার সামনে দাড়িয়েছি
কিন্তু তোমি একটা দিনই দেখলে।
সেই একটা দিনের পিছনের গল্পটা জানলে না
তোমার সামনে দু'মিনিট দাড়াব বলে
নিজেকে প্রস্তুত করেছি দু'সহস্র মিনিট ধরে।

তোমি তো শুধু একগুচ্ছ কদম ফুলই দেখলে
এর আগে কতগুলি ব্যর্থ ফুল
গোলাপ, জবা, জুই আর রজনীগন্ধা
দিবালোকে পাদুকায় পিষ্ট হয়েছে
তোমার কাছে যাবে যাবে করে।
সেই নিষ্পাপ ফুলের আর্তচিৎকার
তোমার কানে পৌছল না।

November 30, 2016

The Queen of Pulag

May be she is a ordinary girl of Philippine.
But for me she is daughter of Luzon.
And the queen of Pulag.

I never see her at a glance
I never hear her smiling voice
Cause she lives so far.
But I feel her ever.
Cause she also lives in my heart.

তবুও তো বেচে আছি

হারিয়ে গেছো অনেক আগেই
ভূলতে কি পেরেছি এক চিমটি?
হয়তো বা না।
পুরোনো ডায়রির পাতা নাড়াচাড়া করি,
লিখতে কি পেরেছি নতুন একটি কবিতা তোমাকে ছাড়া?
হয়তো বা না।
ষোড়শী অন্য কোন বালিকার চোখে সপে দিতে কি পেরেছি
তোমাকে নিয়ে দেখা স্বপ্ন?
তাও না।

কখনো বলিনি, তোমাকে ছাড়া বাচব না।
নিঃসঙ্গ দেহটাকে কি ঝুলিয়েছি দড়িতে?
না।
বেচে তো আছি।
তোমাকে ছাড়াও তো বাচতে পারি।
সেও এক জীবন।
ছন্দহীন, বর্ণহীন
এখানে শুধু একটা জীবনই আছে।
কিন্তু সে জীবনের কোন রং নেই
কোন বর্ণ নেই
কোন গন্ধ নেই
কোন স্বপ্ন নেই
কোন উদ্দেশ্য নেই
নেই কোন অনুভূতিও।
তবুও তো বেচে আছি।

October 13, 2016

আমারও একটি স্বপ্ন আছে

প্রায় বছর তিনেক আগে
আমি মরে গিয়েছিলাম।
নিঃসার দেহটি পড়েছিল
তপ্ত সাহারার বুকে
একটা শকুনি আমাকে ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছিল।
তবুও আমার ভাল লাগত
কেননা, সেই শকুনিটাকে আমি ভালবাসতাম।
তিন বছরের ব্যাবধানে
যখন প্রায় নিঃশেষের পথে
ঠিক তখনই দেখা পেলাম
এক নতুন বসন্তের।
মরুভূমির বুকে শাখা মেলে দাড়াল
চিরহরিৎ সবুজের উদ্যান।
রঙ-বেরঙের নানা ফুল
ছুয়ে দিল আমার দেহ।
আমি ফিরে আসলাম
মৃত্যুর কূপ থেকে
দাড়িয়ে দেখি সামনে নতুন একটি পথ
নতুন একটা স্বপ্ন
আমি এখন সেই স্বপ্নের সাথে
আলিঙ্গন করতে চাই
আরও একবার খুজে পেতে চাই
বেচে থাকার মানে।
আরও একবার প্রত্যয় নিয়ে বলতে চাই,
আমারও একটি স্বপ্ন আছে।

কৃষ্ণপক্ষের অর্ধচন্দ্র

"সামনে যখন তোমি,
চারপাশ তখন অন্ধকার।
যেন মৃত-কাল মাহেন্ঞ্জদারো'র বুকে
জেগে উঠেছে একখানি সপ্তমীর চাঁদ।"

না সপ্তমীর চাঁদ হয় কি করে?
অনেক আগেই তো পূর্ণিমা হারিয়েছে
চতুর্দশীর কোন এক রাতে।
এ তো পূর্ণিমা খুইয়ে ফেলা
একবিংশের অর্ধচন্দ্র!
. আমি তাকে দেখে আসছি
অনেককাল আগে থেকেই...
চতুর্দশী বালিকার চোখে আমি দেখেছি
নিষ্পাপ অবুঝ ভালবাসা
ষোড়শী বালিকার চোখে দেখেছি
কামনাময় আবেগের ঢল
আর অষ্টাদশী বালিকার চোখে দেখেছি
সব কিছু হারানোর অভিমানী জল।

আর এ তো একবিংশের কথা।
এত বড় হয় কি করে?
মানুষ মাত্রই নাকি ভূল,
কবিরাও তাহলে মানুষ!

সপ্তমী আর একবিংশের চাঁদের মাঝে মিল কি?
দুটোই অর্ধচন্দ্র।
সপ্তমীর চাঁদ খুজে পূণিমার সাধ
আর একবিংশের চাঁদ
নিঃশেষ হতে চায়
হাজার বছরের মৃত-কাল
মাহেন্ঞ্জদারো'র অন্ধকারে।

কবিতাঃ_কৃষ্ণপক্ষের_অর্ধচন্দ্র
October 07, 2016

চন্দ্রাবতী

বসে আছি আমি আর তোমি।
পাশাপাশি নয়
সামনা-সামনি।
যেন পুরানো দিনের হিসাব মিটিয়ে
নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হবে।

তোমার মুখে জ্যোৎস্না আছড়ে পড়ছে।
অথচ আমার মুখ
ঐ হাজার বছরের অমাবস্যায় ঢাকা।
চাঁদ তো একটাই
সামনা-সামনি দাড়ালে সে নিঃস্ব হয়ে যায়।
দুজনকে আলো দেয়ার ক্ষমতা তার নেই।

তোমি কি একটু আমার পাশাপাশি দাড়াবে?
হাতে রাখবে কি হাত?
তোমার হাতে হাত রেখে
পূর্ণিমার আলোর দিকে মুখ করে
আমরা হেটে যাব একটুখানি সময়।

#চন্দ্রাবতী
June 10 at 3:47am