- আচ্ছা, আজ চা খেতে না হয় তোমার প্রাক্তনের গল্পটাই শুনি।
= খারাপ লাগবে না?
- খারাপ লাগবে বলে কি টাইটানিক দেখা বাদ দিয়েছিলাম?
একটু হেসে বললাম,
= তুমি যুক্তিতে বেশ,
আমি হেরে যাই বার বার।
কোথা থেকে শুরু করব?
- প্রথম দেখা?
=তুমি বিশ্বাস করতে পারবে না
কি তীব্র একটা যন্ত্রণা বোধ হয়েছিল তখন...
তার হাসিটা যেন স্বর্গলোক থেকে ধার করা ছিল।
কেবলই মনে হয়েছিল, কি অপূর্ব! কি অপূর্ব!! কি অপূর্ব!!!
তার কালো চোখের গভীরতা
যেন সমুদ্রের শেষ বিন্দুটুকুন।
দরিয়ার মত দীর্ঘ কেশ
আমায় অস্থির করে তুলত
আমি ভাবতাম, হে ইশ্বর তোমাকে ধন্যবাদ
এক নজর স্বর্গ দেখার সৌভাগ্য হয়েছে
হে পরমেশ্বর, তোমাকে ধন্যবাদ।
....
একি! তুমি কাঁদছ?
= না, তো; হয়তো চোখ মিথ্যা বলছে।
- কষ্ট হচ্ছে?
= আমি ছাড়া অন্য কোথাও তোমার আনন্দ হলে আমার কষ্ট হয়।
হয়তো এটাই পৃথিবীর নিয়ম
আর হিংসাও একটা গুণ।
খানিকটা সামলিয়ে শুধালো,
আচ্ছা, আমার মাঝে কি দেখলে শুনি?
- সেটাই তো সবচেয়ে বড় দূর্বলতা আমার
কিছু দেখে তো ভালোটা বাসিনি।
= আফসোস হয়?
-হবেনা কেন?
আহ! যদি তোমার হাসি দেখে তোমার প্রেমে পড়তাম
তোমার নিষ্পলক চোখের শূন্য দৃষ্টি
কিংবা তরুলতার মত কেশ
স্বর্ণলতার মতো কলেবর
যদি এসবের কিছু একটা দেখে প্রেমে পড়তাম!
একদিন,
এই মুক্তোর দাঁত বিলীন হয়ে যেতো
নয়ন হারাতো তার জ্যোতি
ত্বকে জমে যাতো অজস্র রেখা;
সেই ফুরিয়ে যেতো আমার ভালবাসাটাও।
সেটাই তো সবচেয়ে বড় দূর্বলতা আমার
কিছু দেখে তো ভালোটা বাসিনি;
আর সেই কারণে আমার ভালবাসাটা কোন দিন ফুরিয়েও যাবেনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন