তাকে একবার জিঙ্গেস করছিলাম
“এই যে তোমরা দেখা করছ
তারপর অনেকদিন কোন যোগাযোগ নেই
তারপর একদিন হঠাৎ দেখা।
কেমন উপলদ্ধি হয় তখন?”
মজনুন ঠোঁটের কোনায় হাসি ফুটিয়ে
অবহেলায় চুপ হয়ে যায়।
“তোমাদের কি অনুভব করার ক্ষমতা আছে?
যা আমি অনুভব করি…
যখন দেখা হয় না,
ছটফট করতে থাকি
জলের মাছ ঢাঙায় এলে যেমন করে
ঠিক তেমন-ই আর কি।
আবার যখন দেখা হয়,
পানিতে ডুবে মরতে থাকা মজনুন
যেন ফের পায় অক্সিজেনের প্রাচুর্য।
যত সময় তার সাথে থাকি
মনে হয় যেন স্বর্গে আছি
চারপাশে হুরপরীদের মেলা
দেবদূতরা বাতাসে তুলে সুরের মূর্ছনা।
আমার একাকীত্বের সময়টাও তার
চারপাশে কালো মেঘে ঢাকা
কেবলই তাহার ছায়া…
আমি ভালবাসি সেই বিমূর্ত রূপটা
কি স্নিগ্ধ! কায়াহীন এক মায়া।“
লোকে তো বলে সে আমি উন্মাদ-মত্ত-পাগল
আমি যেন তাকে আর চিনতে পারছিলাম না।
বিড়বিড় করে বললাম,
“কে তুমি ভাই?
কোথা পাও এত জুনূন?”
সে হেসে বলল, “আমি মজনুন ভাই,
আমি মজনুন।“